মর্ত‍্য লোকে করোনার থাবা : মুখাবরণীতে মুখ ঢেকে পূজিত কুমারী

25th October 2020 5:13 pm হুগলী
মর্ত‍্য লোকে করোনার থাবা : মুখাবরণীতে মুখ ঢেকে পূজিত কুমারী


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :   অষ্টমীতে বেলুড় মঠের কুমারী পূজার রেওয়াজ থাকলেও মূলত নবমীর দিন বহু জায়গাতেই কুমারী পূজার চল রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে  হুগলি জেলার রতনপুর গ্রামের  দুর্গাপুজোয় কুমারী মণ্ডপে এলো মুখে মাস্ক এবং হাতে স্যানিটাইজারের বোতল নিয়ে। এই অভিনব কুমারী পূজা দেখা গেল হুগলির  রতনপুর বাবা কালুরায় জিউ মন্দির সংলগ্ন রতনপুর বারোয়ারি পূজা মন্ডপে। প্রতিবছর নবমীর দিন এখানে কুমারী পুজো হয়।এবছর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কুমারী পূজার রীতিনীতিতেও বেশকিছু বদল আনা হয়।  এবছর কুমারী হন ওই গ্রামের শিক্ষক বিকাশ  ভট্টাচার্য্যের কন্যা ঋদ্ধি ভট্টাচার্য। ঋদ্ধি রতনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী। তার স্কুলেই  রতনপুর বারোয়ারী পুজোয় কুমারী হয়েছেন ঋদ্ধি। কুমারীকে মূলত উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে কোলে করে নিয়ে যাওয়ার রীতি  থাকলেও এবছর করোনা সংক্রমনের কথা মাথায় রেখে কুমারীকে পায়ে হাঁটিয়ে মন্ডপে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে মিষ্টিমুখ করানো হয়নি এবং দূর থেকে প্রণাম সারেন এলাকার মানুষ।ঋদ্ধি জানায়, গ্রামের দিকে করোনার প্রভাব ততটা না থাকলেও মূলত সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতে করোনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায় সে কথা মাথায় রেখেই তিনি মাস্ক পরে মণ্ডপে এসেছেন।  তার বন্ধু-বান্ধবদেরও মাস্ক পরা এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করায় অনুপ্রাণিত করে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।